| ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দৃষ্টিনন্দন এই ১২ টি স্টেডিয়ামেই বসছে রাশিয়া বিশ্বকাপ…

খেলাধুলা ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৮ মে ২৩ ১১:৫৪:৪৭
দৃষ্টিনন্দন এই ১২ টি স্টেডিয়ামেই বসছে রাশিয়া বিশ্বকাপ…

এবারের বিশ্বকাপ ফুটবরের আসর বসবে রাশিয়াতে। বাছাইপর্ব এবং প্লে-অফের বাধা পেরিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ৩২টি দল। হাতে সময় খুব কম। তাই জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে আয়োজক রাষ্ট্র রাশিয়া। ইতোমধ্যে রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য ১২টি স্টেডিয়ামও নির্ধারিত হয়ে গেছে। যে ১২টি স্টেডিয়ামে এই ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হলো- লুজনিয়াকি স্টেডিয়াম, সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম, সচি স্টেডিয়াম, একটেরিনবার্গ অ্যারেনা, ক্যাজান অ্যারেনা, নিজনি নবোগড়ড স্টেডিয়াম, রোস্তব-অন-ডন, সামারা অ্যারেনা, মরডোভিয়া অ্যারেনা, ভলগোগ্রাড অ্যারেনা, স্পার্টাক স্টেডিয়াম, কিলিনিনগ্রাড স্টেডিয়াম ।

এর মধ্যে সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম হলো লুজনিয়াকি স্টেডিয়াম এবং সবচেয়ে ছোট স্টেডিয়াম হলো কিলিনিনগ্রাড স্টেডিয়াম। বলা বাহুল্য সবচেয়ে বড় ভেন্যু লুজনিয়াকি স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ১ লাখেরও বেশি। অন্যদিকে সবচেয়ে ছোট স্টেডিয়াম কিলিনিনগ্রাডের দর্শক ধারণক্ষমতা মাত্র ৩৫ হাজার। সব মিলিয়ে যে ১২টি স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে এসবের গড় দর্শক ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার ৩০০। আজকের আয়োজনে ১২ স্টেডিয়ামের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো-

লুজনিয়াকি স্টেডিয়াম : ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে লুজনিয়াকি স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হবে এ স্টেডিয়ামটিতে। তা ছাড়া গ্রুপ পর্বের ৪টি ম্যাচ এবং ফাইনালের পাশাপাশি শেষ ষোলোর ১টি ম্যাচ এবং সেমিফাইনালের ১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ স্টেডিয়ামে। সব মিলিয়ে লুজনিয়াকি স্টেডিয়ামে এবারের বিশ্বকাপের সর্বমোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ৮১ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটির পূর্ব নাম ছিল সেন্ট্রাল লেনিন স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৫৫ সালে। ১৯৫৬ সালের ৩১ জুলাই স্টেডিয়ামটি চালু হয়েছিল। ১৯৬৩ সালের অক্টোবরের ১৩ তারিখ সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ইতালির মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি ম্যাচে ১ লাখ ২ হাজার ৫৩৮ জন দর্শক লুজনিয়াকি স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে উপস্থিত হয়েছিল। যা এখন পর্যন্ত স্টেডিয়ামটিতে সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতি। রাশিয়ার সবচেয়ে বড় এ স্টেডিয়ামটির অবস্থান মস্কোর কামোভনিকিতে এলাকায়। যেসব স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো লুজনিয়াকি স্টেডিয়াম। উল্লেখ্য, আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে পুনরায় সংস্কার করা হয়েছে লুজনিয়াকি স্টেডিয়ামকে। বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে ২০১৩ সালে স্টেডিয়ামটির সংস্কার কাজ শুরু হয় এবং কাজ সমাপ্ত হয় ২০১৭ সালে। এ কাজে খরচ হয়েছে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০০১ সালেও সংস্কার করা হলেছিল এ স্টেডিয়াম। এটি রাশিয়ার জাতীয় স্টেডিয়াম। দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলনের জন্য ব্যবহৃত হয় এ স্টেডিয়ামটি। কেবল রাশিয়ারই নয়, ইউরোপের বড় স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যেও অন্যতম হলো লুজনিয়াকি স্টেডিয়াম। ১৪ জুন স্বাগতিক রাশিয়া এবং সৌদি আরবের মধ্যকার গ্রুপ পর্বের ম্যাচের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ আয়োজনের সাক্ষী হবে লুজনিয়াকি স্টেডিয়াম।

সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম : সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামটি ক্রেস্টবস্কাই স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। এ ছাড়া স্টেডিয়ামটিকে জেনিথ অ্যারেনাও বলা হয়। স্টেডিয়ামটির অবস্থান রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের ক্রিস্টভস্কাই আইল্যান্ডে অবস্থিত। সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ৬৭ হাজার। স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে এবং উদ্বোধন করা হয় ২০১৭ সালে। সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামটি নির্মাণে খরচ হয়েছে সর্বমোট ১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালের রশিয়া বিশ্বকা্পে স্টেডিয়ামটিতে মোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ জুন মরক্কো এবং ইরানের মধ্যকার ম্যাচটির মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবরের ম্যাচ আয়োজনের সাক্ষী হবে এ স্টেডিয়ামটি। এ ছাড়া রাশিয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের ১টি এবং তৃতীয়স্থান নির্ধারণের ম্যাচটিও অনুষ্ঠিত হবে সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে।

সচি স্টেডিয়াম : সচি স্টেডিয়ামটি ফিস্ট অলিম্পিক স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। স্টেডিয়ামটির অবস্থান রাশিয়ার ক্রাসনোডারস্কি ক্রাই এলাকায়। সচি স্টেডিয়ামটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালে। সুন্দর এ স্টেডিয়ামটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্টেডিয়ামটি দর্শক ধারণক্ষমতা ৪৭ হাজার ৬৫৯ জন। তবে বিশ্বকা্পের পর স্টেডিয়ামটির কিছু অংশের সংস্কার করা হবে। যার ফলে দর্শক ধারণক্ষমতা কয়েক হাজার হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ান ফুটবল সংস্থা। ২০১৮ সালের রশিয়া বিশ্বকাপের সময় এ স্টেডিয়ামটিতে মোট ৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ জুন পর্তুগাল এবং স্পেনের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হবে স্টেডিয়ামটির। এ ছাড়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে স্টেডিয়ামটিতে।

একটেরিনবার্গ অ্যারেনা : স্টেডিয়ামটি সেন্ট্রাল স্টেডিয়াম ইয়েকাটেরিনবার্গ নামেও পরিচিত। স্টেডিয়ামটির অবস্থান রাশিয়ার ইয়েকাটেরিবার্গের ইউলিটসা রেফিনা নামক এলাকায়। একটেরিনবার্গ স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয় ১৯৫৭ সালে। তবে ২০০৬ সালে স্টেডিয়ামটির সংস্কারের কাজ শুরু হয় এবং সংস্কার কাজ শেষ হয় ২০১১ সালে। এরপর বিশ্বকাপ উপলেক্ষে ২০১৪ সালে পুনরায় স্টেডিয়ামটির সংস্কার কাজ শুরু হয় এবং তা শেষ হয় ২০১৭ সালে। একটেরিনবার্গ অ্যারেনার দর্শক ধারণক্ষমতা ৩৫ হাজার ৬৯৬ জন।বিশ্বকাপের ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ স্টেডিয়ামে। ১৫ জুন মিসর এবং উরুগুয়ের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হবে স্টেডিয়ামটির।

ক্যাজান অ্যারেনা : ক্যাজান অ্যারেনা স্টেডিয়ামটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালে। বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে ২০১০ সালে স্টেডিয়ামটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। স্টেডিয়ামটির অবস্থান রাশিয়ার তাতারাস্টানে। ক্যাজান অ্যারেনা স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার ৩৭৯ জন। স্টেডিয়ামটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮ সালের বিশ্বকা্পের মোট ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ক্যাজান অ্যারেনায়। ১৬ জুন ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপের পথচলা শুরু হবে স্টেডিয়ামটির। রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ স্টেডিয়ামে।

নিজনি নবোগড়ড স্টেডিয়াম : মূলত ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষেই এ স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। নিজনি নবোগড়ড স্টেডিয়ামের অবস্থান রাশিয়ার ইউলিটসনা ডলসহানসকাইয়া এলাকায়। স্টেডিয়ামটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে তৈরি এ স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার। রাশিয়া বিশ্বকাপের মোট ৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ স্টেডিয়ামে। এর মধ্যে রয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালের ১টি ম্যাচ। ১৮ জুন সুইডেন এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হবে স্টেডিয়ামটির।

রোস্তব-অন-ডন : যে কয়টি স্টেডিয়ামে রাশিয়া বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এর মধ্যে সৌন্দর্যের দিক দিয়ে অন্যতমক রোস্তভ-অন-ডন স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটির অবস্থান রোস্তভ অভলাস্টে। স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার। তবে বিশ্বকাপ শেষে এ সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পাবে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের মোট ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ স্টেডিয়ামে। ১৭ জুন ব্রাজিল এবং সুইজারল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে সুন্দর এ স্টেডিয়ামটির বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হবে। এ ছাড়াও রাশিয়া বিশ^কাপের শেষ ষোলোর একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে স্টেডিয়ামটিতে।

সামারা অ্যারেনা : সামারা অ্যারেনা স্টেডিয়ামটি কসমস অ্যারেনা নামেও পরিচিত। বিশেষ করে রামিয়ার জনগণ এ স্টেডিয়ামটিকে কসমস অ্যারেনা বলেই ডাকে। স্টেডিয়ামটির অবস্থান রাশিয়ার সামারা অবলাস্টে। মূলত বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষেই নির্মাণ করা হয়েছে এ স্টেডিয়ামটি। সামারা অ্যারেনা নামক স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ৪৫ হাজার। স্টেডিয়ামটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩২০ মিলিয়ন ডলার। রাশিয়া বিশ্বকাপ৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ স্টেডিয়ামে। এর মধ্যে রয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালের একটি ম্যাচও। ১৭ জুন কোস্টারিকা এবং সার্বিয়ার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হবে এ স্টেডিয়ামটির।

মরডোভিয়া অ্যারেনা : ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে মরডোভিয়া অ্যারেনা স্টেডিয়ামটি তৈরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক দেশ রাশিয়া। মরডোভিয়া অ্যারেনা স্টেডিয়ামটির অবস্থান রাশিয়ার ভলগোগ্রাডস্কিয়াতে। মরডোভিয়া অ্যারেনা স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ৪৫ হাজার। তবে বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর কিছু অংশের সংস্কার করা হবে। তখন এ স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা হবে মাত্র ২৮ হাজার। স্টেডিয়ামটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ স্টেডিয়ামে। ১৬ জুন পেরু এবং ডেনমার্কের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ আয়োজনের সাক্ষী হবে এ স্টেডিয়ামটি।

ভলগোগ্রাড অ্যারেনা : ভলগোগ্রাড অ্যারেনা স্টেডিয়ামটির অবস্থান রাশিয়ার ভলগোগ্রাড অঞ্চলে। আসন্নবিশ্বকাপকে সামনে রেখেই স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেডিয়ামটি দর্শক ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ স্টেডিয়ামে। যার মধ্যে প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে জুনের ১৮ তারিখ। এ ম্যাচে মুখোমুখি হবে তিউনিশিয়া এবং ইংল্যান্ড। ম্যাচটি আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ আয়োজনের সাক্ষী হবে ভলগোগ্রাড অ্যারেনা স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

স্পার্টাক স্টেডিয়াম : স্পার্টাক স্টেডিয়ামটি অটক্রিটাই অ্যারেনা নামে পরিচিত। বিশেষ করে রাশিয়ানরা স্টেডিয়ামটিকে এ নামেই চিনে। স্টেডিয়ামটির অবস্থান রাশিয়ার মস্কোর থোসিনো অঞ্চলে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে স্টেডিয়ামটির সংস্কারের কাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয় স্টেডিয়ামটির। স্পার্টাক স্টেডিয়াম নির্মাণে খরচ হয়েছে ৪৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজারেরও বেশি। তবে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ চলাকালীন কেবল ৪২ হাজার দর্শক বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে উপস্থিত হতে পারবে। আসন্ন বিশ্বকাপের মোট ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ স্টেডিয়ামটিতে। বিশ্বকাপ ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি আর্জেন্টিনা এবং প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবলের সুযোগ পাওয়া আইসল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাট দিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ আয়োজনের সাক্ষী হবে এ স্টেডিয়ামটি। এ ছাড়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর একটি ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে স্পার্টাক স্টেডিয়ামে।

কিলিনিনগ্রাড স্টেডিয়াম : যে ১২টি স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে তার মধ্যে আরেকটি স্টেডিয়াম হলো কিলিনিনগ্রাড স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটির অবস্থান রাশিয়ার অন্যতম প্রসিদ্ধ অঞ্চল কিলিনিনগ্রাডে। কিলিনিনগ্রাড স্টেডিয়ামটি মূলত বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখেই তৈরি করা হয়েছে। স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ৩৫ হাজার। তবে বিশ্বকাপ শেষে পুনরায় সংস্কার করার পর স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা কমে ২৫ হাজারে নেমে আসবে। যেসব স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট হলো এ স্টেডিয়ামটি। স্টেডিয়ামটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ স্টেডিয়ামে। ১৬ জুন ক্রোয়েশিয়া এবং নাইজেরিয়ার মধ্যকার ম্যাচটির মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের সাক্ষী হবে কিলিনিনগ্রাড স্টেডিয়াম।

ফুটবল প্রেমীদের অপেক্ষার অবসান হচ্ছে খুব দ্রুত। আগামী ১৪ জুন জমজমাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠতে যাচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ ফুটবলের। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়ে চেষ্টার যেন কোনো কমতি রাখছে না আয়োজক দেশ রাশিয়া। ইতোমধ্যে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছে দেশটি। এখন অপেক্ষা শুধু মেসি, রোনালদো, নেইমারদের ফুটবল মাঠের লড়াই দেখার। উল্লেখ্য, ১৪ জুন লুজনিয়াকি স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের সমাপ্তি হবে ১৫ জুলাই একই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালের মধ্য দিয়ে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

ব্রেকিং নিউজ: ১০ কোটি রুপিতে দল পেলেন নাহিদ রানা, দেখেনিন সাকিব ও মুস্তাফিজের অবস্থান

ব্রেকিং নিউজ: ১০ কোটি রুপিতে দল পেলেন নাহিদ রানা, দেখেনিন সাকিব ও মুস্তাফিজের অবস্থান

আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামে প্রত্যাশা ছিল যে ঋষভ পন্ত এবং শ্রেয়স আইয়ার বড় মূল্য পাবেন, ...

ব্রেকিং নিউজ: বিশাল মূল্যে আইপিএল নিলাম থেকে দল পেলেন বাংলাদেশ ৩ তারকা ক্রিকেটার

ব্রেকিং নিউজ: বিশাল মূল্যে আইপিএল নিলাম থেকে দল পেলেন বাংলাদেশ ৩ তারকা ক্রিকেটার

আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামে প্রত্যাশা ছিল যে ঋষভ পন্ত এবং শ্রেয়স আইয়ার বড় মূল্য পাবেন, ...

ফুটবল

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

পয়েন্ট টেবিল প্রকাশ : ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আরও যত পয়েন্ট দরকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার

২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক ফুটবল সূচির প্রায় শেষ প্রান্তে এসে নিজেদের বছরের শেষ ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ ...

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে আরও যত পয়েন্ট দরকার আর্জেন্টিনার

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে আরও যত পয়েন্ট দরকার আর্জেন্টিনার

লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে ২৫ ...



রে